আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার আর বাংলাদেশে নেই। দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান গনমাধ্যমকে বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থেই দুদক আগে থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে পি কে হালদার যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য দুদক এসবির মাধ্যমে ইমিগ্রেশনকে চিঠি দেয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এসবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দুদকের চিঠি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান প্রশান্ত কুমার হালদার।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। এ ঘটনা ঘটে এস বির চিটি ইমিগ্রেশন শাখায় পৌছানোর আগেই। চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদর দপ্তর থেকে তাদের ইমিগ্রেশন ইউনিটে যাওয়ার দুই ঘণ্টা ৯ মিনিট আগে । সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ থাকা প্রশান্ত যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সে জন্য দুদক ওই চিঠি এসবিকে পাঠিয়েছিল।
দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকার সময় প্রশান্ত কুমারের ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য এসবির ইমিগ্রেশন ইউনিট সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। বিষয়টি গতকাল সোমবার জানানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
প্রশান্ত যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সে জন্য এসবিকে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর চিঠি দেয় দুদক। ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক করতেই এই চিঠি দেওয়া হয়। দুদকের এই চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়। পরদিন ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় এই চিঠি পায় এসবির সদর দপ্তর। এরপর সদর দপ্তর থেকে এসবির সব ইমিগ্রেশন ইউনিটকে ওই দিন বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ই-মেইলযোগে এই চিঠি পাঠানো হয়।
প্রশান্ত কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেওয়ার পরও কিভাবে তিনি দেশ ত্যাগ করলেন তা নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ওই দিন আদালত প্রশান্ত যেদিন দেশ ত্যাগ করেন সেদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে কারা দায়িত্বরত ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেন। ১৫ মার্চের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রশান্তের পালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে মৌখিকভাবে তথ্য জানিয়েছে এসবির ইমিগ্রেশন ইউনিট।