গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটালাইজেশন এর একটি বড় কারিগর ইন্টারনেট সেবাদানকারি প্রতিষ্টান ISP, যার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন। সরকারি বেসরকারি হিসাবে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ কোটি লোক ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত। এ সেবাখাতকে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ঝুকির মধ্যে ফেলছে এবং ফেলার পায়তারা করছে।
বাংলাদেশে এখন প্রায় প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বৈধ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। BTRC তার কার্যক্রম করেছে আরো দৃঢ়। টিলিকম মিনিস্টার জনাব মোস্তফা জব্বার ISPAB এর এক কর্মশালায় তার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন বৈধ সেবা দেয়ার লক্ষে প্রয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়েও লাইসেন্স প্রদান করা হবে। সে লক্ষে দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন অসংখ বৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সম্প্রিতি ২২-০৭-২০১৯ তারিখে BTRC তার এক নোটিশ এ লক্ষ করা গেছে নানা কারনে মেয়াদ উত্তির্ন ২৩ টি ও আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরির ISP লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে পরিচিত ISP হল আফতাব আইটি, জে এফ অপটিকাল, রেডিসন টেকনোলজি, ডেলটা সফট ও অন্যান্য। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একটি তথ্য বেড়িয়ে এসেছে রেডিসন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তির্নের পরও অবৈধ রমরমা ইন্টারনেট বাণিজ্য। ২০১৫ সালে লাইসেন্স মেয়াদ শেষের পরও তারা একচেটিয়া ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়ে আসছে। যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, শ্যামপুর, পাগলা বাজার, সাইনবোর্ড, সিদ্দিরগঞ্জ, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ সদর সহ বিভিন্ন যায়গায়।
এর ফলে সরকার যেমন তার বিশাল অংকের রাজস্ব হারিয়েছে তেমনি যারা সেবা দিচ্ছে ও নিচ্ছে তারাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেছেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরছে হুমকির মুখে। যারা রিসেল করছেন তারা রাখতে পারছেন না কোন লগ যা BTRC গাইড লাইনে বা বিভিন্ন চিঠিতে বারংবার সতর্ক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইনবোর্ড এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রাহক বলেন, সে রেডিসন এর সংযোগ ব্যবহার করছেন কিন্তু তিনি সঠিক ভাবে সেবা পাচ্ছেন না। কারন ফোন দিলে বলে এটা রেডিসন এর সরাসরি সংযোগ না তাই তারা যেমন সার্ভিস দিবে সেটাই গ্রহন করতে হবে।
কারন হিসাবে যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যত সংযোগ আছে তাদের খোজ নিয়ে যানা গেছে তারা অধিকাংশই আইটির সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত না। কেউ রিক্সা চালিয়েছেন, কেউ তরকারী বিক্রি করেছেন, কেউ জেনারেটর ভাড়া দিয়ে চলতেন, কেউ ডিস এর সেবা দিচ্ছেন। অধিকাংশই কোন না কোন ভিন্ন পেশার লোক। যার ফলে এলাকাভিত্তিক মনপলি সার্ভিস এর পায়তারা হয়। বিভিন্ন সময় মারামারি হয়েছে। এ বিষয়ে অনেক সময় থানা পুলিশ করতে হয়েছে অনেককেই।
এই অসাধু ব্যবসায়ীদের দোউরাত্তে BTRC লাইসেন্সধারীদের বিপাকে পরতে হচ্ছে। তারা তাদের বৈধ সেবা দিতে গেলে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার বেশির ভাগই লক্ষ করা গেছে। রেডিসন এর সংযোগ প্রদানকারীরাই এসব অপরাধের সাথে যুক্ত। তারা তাদের এলাকায় অন্য বৈধ এবং মানসম্পন্ন সেবাদাতাকে সার্ভিস দিতে বাধা গ্রস্ত করছেন।
উল্লেখ্য লাইসেন্স বাতিলকৃত ISP তাদের মেয়াদ উত্তির্নের ১৮০ দিন পরও নবায়ন করেন নি বিধায় লাইসেন্স বাতিল বলে গন্য হয়। এবং তাদের আওতাধীন সমস্ত কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়। তার পরও কেউ কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে BTRC আইনে যা শাস্তি আছে তা প্রদান করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
লাইসেন্স বাতিল এর বিষয়ে রেডিসন এর কাওরানবাজার অফিসে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি।