Sunday, January 19, 2025
Homeজাতীয়প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারিতে দুর্নিতীমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গিকার এর প্রতিফলন

প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারিতে দুর্নিতীমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গিকার এর প্রতিফলন

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ক্ষমতাধর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। তার সাফল্যের ধারাবাহিকতাকে আরো বেগবান করতে তিনি নিয়েছেন শুদ্ধি অভিজান এর পদক্ষেপ সেটা দলীয় ও দলের বাহিরের অপরাধী সবার জন্যই প্রযোজ্য।

তার হুঁশিয়ারির ইঙ্গিত নিজ দলের প্রভাবশালী নেতাদের উপর বেশির ভাওগই লক্ষ করা যাচ্ছে। তার কাছে প্রথম অভিযোগ আসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এর বিরুধ্যে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এর এক উন্নয়ন কর্মসুচীর কমিশন নিয়ে। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির কাছে এ কমিশন দাবী করেন এবং দর কষা কষির এক পর্যায়ে একটা অংক দেয়া হয় যা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ায়।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেই সকল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ এর কর্নধার দের পদচ্যুত করার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়। যদিও আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক প্রথমে ছাত্রলীগ এর সভাপতি, সম্পাদক বা তাদের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার বেপারে কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান। কিন্তু বাস্তবে তাদের কমিটি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

সর্বশেষ আর এক সভায় শেখ হাসিনা কর্মিদের মুল্যায়ন এর কথা বলতে গিয়ে বলেন যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তার প্রপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিন এর সাধারন সম্পাদক খালেদ কে তার গুলশান এর বাড়ি থেকে সরকারি আইন শৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করেন। এবং প্রাথমিক তদন্তে তার নামে বেনামে যে সকল জুয়ার আড্ডাখানা পাওয়া গেছে সুগুলো বন্ধ সহ সীল গালা করে দেয়। তার সাথে সভাপতি ইসমাইল সম্রাট ও বেশ চাপে আছেন এবং যেকোন সময় গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন দাতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা যেখানে দুহাত ভরে দান করেন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম লাস সহ অন্যান্য সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানকে। সেখানেই কালো হাত বাড়িয়ে বেকায়দায় পরে গেছেন ইসমেইল সম্রাট। যদিও তিনি এক সক্ষাতকারে তার এই চাদা চাওয়ার বেপারে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেছিলেন।

অনেক আওয়ামীলীগ রাজনীতিকে ভাল বাসেন বেশ কিছু পুরানো নেতারা বলছেন এটাই সঠিক সময় দলে ও দেশের শীর্ষ অপরাধীদের শায়েস্তা করার। নাইলে বাংলাদেশ যে উন্নতি করছে তা মলিন হতে সম্রাট ও জিকে শামীমই যথেষ্ঠ। ভিবিন্ন জেলার অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন ঝুকিতে কারন যারা সিনিয়র দের শ্যালাটারেই এ কাজ গুলো করে থাকেন। আজকে যেমন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কে কোন বড় নেতাই চিনছেন না তাইলে জেলা পর্যায়ের নেতাদের অবস্থা আরো করুন। তাদেরও অস্বীকার করবে এটাই সাভাবিক। কারন ভালর জন্য বাহবা আছে আর অন্যায়ের জন্য আছে তিরস্কার যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রমান করে দিয়েছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments