গ্যাসের উচ্চ মূল্যের প্রতিবাদে বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে আজ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মিছিল সহ মিটিং করেন লাল পতাকা নিয়ে। এ সময়ে বক্তারা সবাই সরকারের সমালোচনা করেন।
বাসদ নেতা বিপ্লব বলেন আজ দেশে গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত। দেশে যে গণতন্ত্র নেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কুফল যার বড় প্রমান গ্যসের উচ্চ মূল্য। আজ যদি সরকারের পুর্নাংগ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হত তাহলে যা ইচ্ছা তাই ভাবে গ্যাস নিয়ে ছিনি মিনি খেলতে পারত না। আজ কোথাও কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সবাই প্রশাসন যন্ত্রের কাছে আটকে আছে।
মোঃ সেলিম তার বক্তব্যে বলেন আজ যখন একনেক এ পাস হয়। গণ শুনানি হয় তখন তাদের মদত পুষ্টরাই অংশ নেন যারা উচ্চ মূল্য বা অযৌক্তিক বৃদ্ধির প্রতিবাদ বা মতামত পর্যন্ত করেন না। তিনি বলেন আজ যদি দেশে পুর্নাংগ গণতন্ত্র থাকত বাক স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিত তবে এমনটি নাও হত। আজ বাসা বাড়িতে কোন বিল বকেয়া নেই। যত প্রনধনা ঐ ব্যাসরকারি শিল্পে যেখানে বেশির ভাগ মালিক শ্রমিকের ন্যূন তম মজুরি দিতে অনিহা প্রকাশ করে। তাদের বিল মকুফ সহ হরেক রকম সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যত ষ্টীম রুলার ঐ নিরীহ জনগনের উপর।
উল্লেখ্য বর্তমানের চেয়ে গড়ে দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে দুই দফায় প্রায় সমহারে এই দাম বৃদ্ধি কার্যকর হবে। এই দাম বাড়ানোর আদেশ দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বাসা বাড়ির রান্নার চুলার ১টি ৯২৫ আর ২টির ৯৭৫ টাকা যা গৃহস্থলির জন্য অত্যন্ত ব্যায়বহুল। সাধারন মানুসের মনে বিরুপ প্রতিকৃয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
প্রথম দফায় আগামী ১ মার্চ ও দ্বিতীয় দফায় ১ জুন থেকে দাম বাড়বে। অর্থাৎ, মার্চ মাসের গ্যাসের বিল দিতে হবে বাড়তি দামে। এরপর জুন মাসের বিলে তা আরও এক দফা বাড়বে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে সার, বিদ্যুৎ ও শিল্পে উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে, যার ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ঘাড়েই চাপবে। এ ছাড়া সিএনজির দাম বাড়ালে পরিবহন ভাড়াও বাড়বে। এটিও বহন করতে হবে ভোক্তা ও যাত্রীদের।