২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ এর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে জাতীয় দিবস গুলোতে বরবরই জিয়া হল বা মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তনটি আলোক সজ্জিত করা হলেও এবার তার ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সহ উর্ধতন ব্যক্তিবর্গ বিজয়স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
আজকের এই দিনে বাংলাদেশের অনেক তাজা প্রান নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ও এদেশীয় রাজাকার শান্তি বাহিনী। ১৯৭১ সালের এ কাল রাত্র ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বাদ কে নস্যাৎ করে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র। কিন্তু বাঙ্গালীর মনোবল ও মুক্তিকামী মানুষের দৃর চেষ্টা সফল হতে দেয়নি।
তারা দাবিয়ে রাখতে পারে নাই বাংগালী জাতীকে। দাবিয়ে রাখতে। পারে নাই সারে সাত কোটি মুক্তি কামী মানুষকে। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর সেই জ্বালাময়ী মুক্তির ভাষণ ও স্বাধীনতার সেই কবিতা পাকিস্তানী বাহিনীর কোন বুলেটই মাটিতে মিশাতে পারেনি বাঙ্গালী জাতীকে।
এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপয়ারেশন ব্লিচ এর পরবর্তি অণুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬শে মার্চ এর মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া
বাঙালিরা তখন পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে,যা পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারীদের ধারণার বাইরে ছিল। মে এর মাঝামাঝি সময়ে সকল বড় বড় শহরের পতন ঘটার মধ্যে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের প্রধান অংশ শেষ হয়। এই সামরিক আক্রমণ ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ত্বরান্বিত করে। এই গণহত্যা বাঙালিদের বাক্রুদ্ধ করে তোলে যে কারণে পাকিস্তান সেনবাহিনীর বাঙ্গালি সেনাপতি ও সৈনিকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয় এবং বহু মানুষকে শরণার্থীরূপে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়।
এই ভয়াবহ গণহত্যা ১৯৭১ এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় এবং বাঙালিরা দখলদারী পাকিস্তানী বাহিনীকে বিতারিত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। পরিণতিতে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমান্ড মিত্র বাহিনী এর কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়
উল্লেখ্য আজকের এই দিনকে বাংলার দেশ প্রেমিক মানুষকে আরো উজ্জীবিত করতে প্রতিবছরই শোকের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে। এ দিনটিকে আরো গভীর ভাবে মনে রাখতে ও স্মরণীয় করে রাখতে আজকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে ভিন্ন ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আজ রাত ৯টা বাজে ১ মিনিটের জন্য দেশব্যপী একযোগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বন্ধ করে দিবসটির সেদিনের চিত্র তুলে ধরা হবে। সেদিন কেমন কাল ঘন অন্ধকারে আমাদের দেশের মানুষকে বর্ববর পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী হত্যা করতে চেয়েছিল তা বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।