গত এক বছরে বেশ কিছু হত্যা কাণ্ড সহ মাদক, কিশোর গ্যাং, ধর্ষন ও সামাজিক সমস্যায় ফতুল্লা থানা এলাকা হয়ে উঠেছে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা নানা কারনে ও সমীকরণে আলোচনায় আশে। ফতুল্লা এলাকায় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬ হাজার লোকের বসবাস।
সম্প্রতি মাসদাইর বেগম রোকেয়া স্কুলের গলির সামনে মো. নাহিদুর রহমান পারভেজ (৩০) নামে এক যুবক মুদি দোকানি ও ১৩ নং ওয়ার্ড কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদককে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চাকু, লোহা ও পিস্তলের আঘাতে তাকে জখম করা হয়।
গত ১ বছরে মামলা রুজু হয়েছে প্রায় ৫০৩ যার মধ্যে হত্যা মামলা ২২টি, ধর্ষন ২৩টি ও অন্যান্য মামলা রয়েছে। আর এই শতাধিক মামলার মধ্যে চুরি,ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা অস্ত্র, আত্মহত্যা সহ পারিবারিক মামলা। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে অক্টোবর মাসে তার মামলা সংখ্যা ৬৫ এর উপরে। সবথেকে কম মামলা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে যার মামলা সংখ্যা ৩১ টি।
অনেকেই মনে করছেন অপরাধীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তোয়াক্কা না করেই অবাধে অপরাধ করে যাচ্ছে। যার সম্পৃতিক ঘটনা মাসদাইল মাসুদের উপর সশস্ত্র হামলা ও প্রকাশ্যে গুলি দেশীয় অস্র নিয়ে আক্রমন।
সমাজের অনেকেই এর জন্য মাদক কে দায়ী করছেন। মাদকে অবাদ বেচা কেনা সমাজ কে কলুষিত করছে। বেশির ভাগ ঘটনা গুলোই মাদক স্পটের আস পাশে হয়ে থাকে। চুরি ছিন্তাই ঘটনাগুলর বেশির ভাগ মাদক সেবীরাই জড়িত। প্রশাসন এই মাদক সেবী ও কারবারিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে অপরাধ বেড়েই চলবে আর সমাজে দেখা দিবে বড় ধরনের বিপর্যয় যা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।
পারিবারিক কলহ বিষয়ে সমাজিক অধিকার ফোরামের সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, কিছু পারিবারিক কলহ মামলা করা বা নেয়ার আগে তাদের সামাজিক ভাবে পরামর্শ করে একটা সমাধানে আশা উচিৎ। যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়। যেখানে সমাজের গুনি ব্যাক্তি ও প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও থাকবে। নয়ত সব বিষয়ে মামলা হতে থাকলে তার সমাধানে থানা ও আইন আদালতের কাজ ও বেড়ে যায়। এতে অধিক গুরুত্বপুর্ন অপরাধের সুরাহা করতে প্রশাসনের বেগ পেতে হবে।


