নিরাপদ যাতায়াতের জন্য ভোগান্তিহীন ও সাশ্রয়ী টিকিট ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের যাত্রীদের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুর পর্যন্ত ট্রেনে যাওয়া-আসার সুযোগ পাচ্ছেন যাত্রীরা যখন তখন মাত্র ৬০০ টাকায়। তবে রেল কর্তৃপক্ষের এ সুযোগটির বিষয়ে অবগত নেই অনেক যাত্রী।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুর পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট ২০ টাকা। ফলে একজন যাত্রীর দৈনিক যাওয়া-আসায় খরচ হয় ৪০ টাকা। আর বাসের ভাড়া ৫০ টাকা। এতে যাওয়া-আসায় খরচ হয় একশ টাকা। এক জরিপে, একজন নিয়মিত যাত্রীর বাসে মাসিক ভাড়া বাবদ খরচ হয় দেড় হাজার টাকা আর ট্রেনে হয় বারোশ টাকা। খরচের পাশাপাশি রয়েছে টিকিট কাটার ভোগান্তি।
যাত্রীদের সুবিধা ও ভাড়া সাশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চালু করেছে ৬০০ টাকা টিকিটে সারা মাস যাতায়াতের সুযোগ। একবার ৬০০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কাটলে একজন যাত্রী সারা মাস যতবার খুশি, ততবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুর পর্যন্ত যাওয়া-আসা করতে পারবেন। এতে নিয়মিত যাত্রীদের ট্রেনযাত্রার মাসিক খরচ কমে আসবে অর্ধেক। তবে এ সুবিধার বিষয়টি অনেক যাত্রীর অজানা।
স্টেশনে কয়েকজন যাত্রীর সাথে আলাপ কালে জানা যায় এটি একটি সাশ্রয়ী ও চমৎকার সুবিধা। যেখানে বাসে যাওয়া-আসা করতে লাগে ১০০ টাকা, সেখানে ট্রেনে মাত্র দৈনিক ২০ টাকা দিয়ে যাওয়া-আসা করা যাচ্ছে। তাও আবার যতবার খুশি ততবার। এতে প্রতিবার টিকিট কাটার ঝামেলাও নেই। নিয়মিত যাত্রীদের জন্য এটা খুবই সুবিধাজনক। তারা এ সুবিধাটি ব্যাপক প্রচার দরকার বলে মনে করেন। তাহলে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম সময়ের সাথে নিউজ কে বলেন, একজন যাত্রী যদি ৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে সারা মাস নাও যায়, তবু তার লস হবে না। বিষয়টি অনেক যাত্রী অবগত নয়, বিধায় তারা প্রতিবার টিকিট কেটে যাওয়া-আসা করছে। ইতোমধ্যে ৮০-৯০ যাত্রী বিশেষ সুবিধার আওতায় এসেছে। এ সুবিধার বিষয়টি প্রচার ও জানাজানি হলে নিয়মিত ট্রেন যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করি।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন শ্রমিক শ্রেনী ও চাকরিজীবী তার ৬০০ টকা সারা মাসের যখন তখন ভ্রমনে জীবন যাত্রার ব্যয় নির্বাহে কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করেন। তবে তিনি বলেন, সবার জন এই জাতীয় সম্পদ রেলের নিয়মিত ভাড়াও কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিআকর্ষন করেন।
উল্লেখ্য এর আগে নারায়ণগঞ্জ ডিসি জনাব জাহিদুল ইসলাম মিয়াঁ মেট্রো রেলের আদলে দুইটি বগি সংযুক্ত করেন এবং যাত্রী ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখেন।


