ফাইল ফটো
দিঘার সমুদ্রের নীচে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন – রিলায়েন্স জিয়োর সেই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে। আর তারপর পশ্চিমবঙ্গের ইন্টারনেট ব্যবস্থা আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। আর তাতে ভর করে বাংলায় প্রচুর শিল্প আসবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।
আর দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। তারপরই তৈরি হবে ইতিহাস। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতকে ইন্টারনেটের সিগন্যালের জন্য আর মুম্বাই বা চেন্নাইয়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না । কারণ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দিঘার সমুদ্রের নীচে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র।
বানিজ্য সংগঠন বেঙ্গল চেম্বার্স অফ কমার্সের আয়োজিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক কনক্লেভ’-র মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের প্রকল্পের কাজ করছে রিলায়েন্স জিয়ো। ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে সেটা চালু হয়ে যাবে। অর্থাৎ ১৮ মাসের মধ্যেই সেই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা।
কিন্তু সেই প্রকল্পের ফলে কী লাভ হবে? বর্তমানে পূর্ব ভারতে যা সিগন্যাল আসে, তা সব মুম্বাই বা চেন্নাইয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়। ফলে সিগন্যাল আসতে যেমন দেরি হয়, তেমনই প্রতিবন্ধতাও তৈরি হয়। দিঘায় সমুদ্রের নীচে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে সরাসরি সিগন্যাল আসবে। পুরো ভারতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষমতাও বাড়বে।
আর সেটার উপরে ভর করে কোলকাতায় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সিলিকন ভ্যালি এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে উঠবে দিঘার কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। ১,০০০ কোটি টাকার কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন প্রকল্পে ২০২০ সালে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
সেই রেশ ধরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের ২০২০ সালের ব্রডব্যান্ড নীতির কারণে টেলিকম সেক্টরে এখনও পর্যন্ত ৭,৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। আর ২০২১ সালের ডেটা সেন্টার নীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গে ডেন্টা সেন্টার গড়ে তুলেছে ১১টি সংস্থা। আর সিলিকন ভ্যালি প্রকল্পও অত্যন্ত সাফল্য লাভ করেছে। ৪১টি সংস্থাকে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০০ একর জমির অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।
সময়ের সাথে বিদেশ ডেস্ক