বামে হাজী সেলিম পুত্র এরফান ও ডানে নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেইন ওয়াসিম
গতকাল রাতে সংসদ স্টিকার সম্বলিত ধানমন্ডিতে একটি গাড়ির ধাক্কায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ক্যাপ্টেইন ওয়াসিম এর মোটর বাইক এ ধাক্কা লাগে। এ সময় গাড়ীতে থাকা দুই পি এস নেমে ঐ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কে উপর্যুপরি মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তার স্ত্রি এগিয়ে গেলে তাকেও হামলা করা হয়।
ঘটনা স্থলে দেখা যায় নৌবাহিনীর সদস্যর মুখে ও অন্যান্য স্থানে অনেক আঘাতের চিহ্ন তার একটি দাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে লোকজন জড় হলে যানা যায় সেটা হাজী সেলিমের গাড়ী। এম পি সেলিম পুত্র এরফান এর নির্দেশে এ ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানায় একটা হত্যা চেষ্টা মামলা হয়। বাদী ক্যাপ্টেইন ওয়াসিম উল্লেখ করেন তাকে যেভাবে আক্রমন করা হয় এতে তিনি সন্দেহ করছে তাকে মারার জন্যই উপর্যুপরি হামলা চালানো হয়। কারন ওয়াসিম তার পরিচয় দিয়েও কাজ হয়নি। এরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এর ৩০ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও তার বাবা ঢাকা-৭ আসনের জাতীয় সংসদের একজন সদস্য।
হাজী সেলিম ১৯৯৬ সালের আগে বিএনপি ঘরানার হলেও তিনি কমিশনার হওয়ার সুবাদে আওয়মীলীগ এর টিকেট নিয়ে এমপি বনে যান। তারপর তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। গড়ে তুলেছেন মালটি ব্যবসা। সিমেন্ট সার, রিয়েল এস্টেট, ও বহুতল মার্কেট সহ নানা মুখি ব্যবসা। এলাকাবাসীর কাছে খোজ নিলে জানা যায় হাজী সেলিম এর দুই চেহারা। তিনি লোক সম্মুখে দান দক্ষিনার ভাণ্ডার নিয়ে বসেন আর অন্যদিকে অন্নের জমি ব্যবসা ও বাড়ী ঘর নামে বেনামে দখলেরো অভিযোগ রয়েছে।
আজ দুপুর বারটা থেকে হাজী সেলিম এর বাসায় তল্লাসি চলে এতে অংশ নেন র্যাব, পুলিশ সহ যৌথ বাহিনী সাতেহ র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। কারন লালবাগে সেলিমের রয়েছে বিশাল বাহিনী যা তিনি নানা অপকর্মে ব্যবহার করে থাকেন। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি আসাদুজ্জামান খান জানান অপরাধি যেই হোক বা যে পর্যায়ের হোক কাউকেই ছার দেয়া হবে না। আইনের আওতায় আসতেই হবে। এ লেখা পর্যন্ত হাজী সেলিম পুত্র কমিশনার এরফান সহ তিনজন কে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।