বাংলাদেশ ভারত ২০১৪ সালের মনমোহন বন্দি বিনিময় চুক্তি ও সংশোধিত ২০১৬ সালের মোদি চুক্তি অনুযায়ী ভারত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে সহসাই ফেরত দিচ্ছে না।
সেখানে ভারত ডায়লগ এর কথা বলেছেন। ২০১৬ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী দু দেশের বন্দি যদি গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেই তাকে ফেরত দিতে হবে সেখানে আদালতের রায়ের প্রয়োজন নেই। সেই হিসাব কষলে শেখ হাসিনাকে ভারত স্বল্প সময়েই বাংলাদেশকে হস্তান্তরে কোন আইনি জটিলতা নেই।
তবে প্রশ্ন থাকে এটা শেখ হাসিনা, বজলুল হুদা বা দাউদ ইব্রাহিম না। কারন শেখ হাসিনা আত্ম স্বীকৃতি আছে তিনি ভারতকে যা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তা ভারতের আজীবন মনে রাখতে হবে বলে বহুবার মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।
ভারত নিজেও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিবে না কারন আন্তর্জাতিক কিছু ঘনিষ্ঠতা থাকে যা নিজের স্বার্থে কাজেও লাগে যেটা হাসিনা ভারত থেকে পাবে। ভু রাজনীতির ইতিহাস বলে ভারত বরাবরই আওয়ামী দুর্বলতা ছিল। ২০১৬ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার ও জীবন নাসের হুমকি থাকে হস্তান্তরের বাধ্য বাধকতা নেই উভয় দেশের ক্ষেত্রে।
১৯৮১ এর ১৭ই মে পুতুল কে সাথে করে শেখ হাসিনাকে দেশে পাঠানো, বিগত কয়েকটি নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্ষমতায় হাসিনাকে রাখতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ ছিল। সব সমীকরণ বলে হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকার ফেরত পাচ্ছে না সহসাই।
উল্লেখ্য সিরিয়ার বিপ্লবের পর বাসার আল আসাদ পালিয়ে যান রাশিয়া সেখানে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। কারণ রাশিয়ার সাথে আসাদের গভীর ঘনিষ্ঠতা।


