২রা মার্চ নারায়ণগঞ্জ এর স্মরণ কালের সেরা আকর্শনীয় জনসভার আয়োজন করা হয় নারায়ণগঞ্জ ২ নং রেইল গেট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় এর সামনে। কার্যত এটা নারায়ণগঞ্জ ঐতিহ্য বাহী ওসমান পরিবারের অবদান ও আওয়ামীলীগে তাদের ত্যাগের কথাই উঠে আসে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শামীম ওসমান এমপির প্রথম বড় কোন জনসভা। গেল নির্বাচনের আগেও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম জনসভা করেছিলেন সেখানেও ঐতিহাসিক জনসভায় রূপান্তরিত হয়েছিল।
ফতুল্লা সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা সহ অনেক এলাকা থেকেই লোকজন দুপুরের পর থেকে জড়ো হতে থাকেন। ফতুল্লা থেকে আগত আক্তার সুমন তাদের লাল রঙের সাঁজোয়া কর্মী বাহিনীর গনমিছিল নিয়ে জনসভায় তাক লাগিয়ে দেন। সবাই এক পলক তাকিয়ে দেখেন এমন এক মিছিল।
জনসভার শেষে নারায়ণগঞ্জ এর মহানায়ক ও একজন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে পরিচয় দানকারী জনাব শামীম ওসমান এমপি তার বক্তৃতা শুরু করেন। প্রথমেই তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তার এ জনসভায় মায়ের জাতীকে দির্ঘক্ষন ধৈর্য ধরে কথা শুনার জন্য। তিনি তার বাবার স্মৃতি চারন করেন এবং যার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন ও মোস্তাক মার্কা আওয়ামীলীগ করেন তাদের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন ।
তার কন্ঠে বলেন তার বাবা জনাব শামসুজ্জোহা সাহেব যখন জেলে তাদের বাড়ী হীরা মহল টি ব্যাংক এ নিলামের পথে আর সে মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ বাসী ১ টাকা করে চাঁদা দিয়ে তাদের বাড়ী রক্ষায় এগিয়ে আসেন এবং জনাব শামসুজ্জোহা সাহেব জেল থেকে এসে বলেন এ হীরা মহল কোন ব্যাক্তির নয় এ বাড়ী নারায়ণগঞ্জ তধা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ এর।
মাদক ব্যবসায়ীদের বেপারে আবারো জিরো টলারেন্স এর কথা বললেন । এমনকি তার পাশেও যদি কেউ থাকেন তাকেও সাবধান করে দেন। তিনি বলেন যে কাঁধে হাত সেখান থেকে গলায় চেপে ধরতে বেশি সময় লাগবে না। তিনি দুর্নিতির বিরুদ্ধে সবাইকে আরও সচেতন হতে বলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ কে এমন কিছু দিতে চান যা নারায়ণগঞ্জ বাসী সহ দেশ বাসী যেন স্মরণ করেন।