জি কে বিল্ডার্সের অধীনে যেসব প্রকল্পের কাজ শুরুর পর থেমে আছে, সেগুলো বাতিল করে রিটেন্ডারিং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।আর যেসবের কাজ এখনও শুরু হয়নি, সেগুলো প্রয়োজনে সেকেন্ড লোয়েস্টকে দিন। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তা সময়ের সাথে নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে জি কে শামীমের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কীভাবে একটি কোম্পানি এত কাজ পায়। জবাবে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শামীমকে কাজ দেয়া হয়েছিল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জি কে শামীমের যত কাজ আছে, সব বাতিল করতে হবে। সেটা যেন বিধি অনুসারে হয়। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো পুনঃটেন্ডার করতে হবে। যেন কাজে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। একই সঙ্গে এরকম যারা বিতর্কিত ঠিকাদার রয়েছে, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অনেক কর্মকর্তা বলেন, জি কে বিল্ডার্সের প্রকল্পগুলোর কাজ থমকে আছে। এসব কাজের জন্য সার্বিক এডিপি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে তারা সভায় উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ফের ওই নির্দেশনা দেন।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারির কাজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সচিবালয়, র্যাব হেডকোয়ার্টার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালসহ ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
এর মধ্যে সচিবালয়ে ১৫০ কোটি টাকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবন, ১৫০ কোটি টাকার কেবিনেট ভবন, ৪০০ কোটি টাকার এনবিআর ভবন, ২০-২৫ কোটি টাকার সেবা মহাবিদ্যালয়, ৮০ কোটি টাকার নিউরো সায়েন্স, ৮০ কোটি টাকার বিজ্ঞান জাদুঘর, ১২ কোটি টাকার পিএসসি ,২০০ কোটি টাকার মহাখালী ডাইজেস্টিভ এবং বেইলি রোডে ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প। এর পাশাপাশি জি কে শামীমের হাতে রয়েছে ২০-২৫ কোটি টাকার অ্যাজমা, ২০-২৫ কোটি টাকার ক্যান্সার, ৩০-৬০ কোটি টাকার র্যাব ফোর্স, ৬৫ কোটি টাকার এনজিও ফাউন্ডেশন এবং মিরপুর-৬-এ ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ। শামীম গ্রেফতারের পর থেকে সব কাজ বন্ধ আছে।


