বাংলাদেশের আধুনিকিকায়নের আরেকটি নাম ইন্টারনেট। এটা গনমানুষের দোর গোঁড়ায় পৌছাতে যেমন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তেমনি বাংলাদেশের ISP দের ভুমিকাও অপরিসীম। বাংলাদেশের একমাত্র বৈধ ISP দের বৃহত্তর সংগঠন হল ISPAB যাহা বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত।
নিরাপদ ইন্টারনেট কিভাবে জনগণের দোর গোঁড়ায় পৌঁছে দেয়া যায় সে বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এর প্রধান সম্মানিত অতিরিক্ত কমিশনার জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম। কমিশনার মহোদয়ের সভাপতিত্বে আজকের আলোচনায় অংশ নেন ISPAB এর পক্ষে সংগঠনের সভাপতি জনাব আমিনুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক জনাব এমদাদুল হক, ইসি মেম্বার রাসেদুল আমিন বিদ্যুৎ, সুব্রদ সরকার, নির্বাহি পরিচালক ক্যাপ্টেন মোঃ জাবেদ কায়সার ও বিজয় পাল এবং কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এর অন্যান্য কর্তা ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ISPAB এর প্রতিনিধিরা বর্তমান ইন্টারনেট এর ব্যবহার ও এর নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন। এ বিষয়ে অবগত করতে যেয়ে নেতারা বলেন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ জেলাতেই আইএসপি দের ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন লক্ষ করা গেছে কিছু অসাধু ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিজের খারাপ সেবাটাকে বহাল রাখতে বৈধ এবং মান সম্পন্য সেবাদাতাদের সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন। তার কিছু উদাহরণ হিসাবে বরিশালে লিংক থ্রি এর অফিস এ সন্ত্রাসীদের দ্বারা তালা লাগানো, চট্রগ্রাম শহরে অনেক বৈধ ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সর্বশেস নারায়ণগঞ্জ এর কিছু ঘটনা।
এমনো লক্ষ করা গেছে ওই সকল সেবাদাতাদের কোন রকম লাইসেন্স নাই এবং BTRC নির্দেশিত কোন LOG, DIS এবং গ্রাহক তথ্য়ও সংরক্ষন করছেন না। যার ফলে গ্রাহক যেমন ভোগান্তিতে পরছেন তেমনি ইন্টারনেট এর অপব্যবহার করার ফলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে সঙ্কা। বিষয়গুলো অতিব জরুরী বিধায় ISPAB এর প্রতিনিধিরা কমিশনার কে অবহিত করেন এবং নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা জনগণের দোর গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে সর্বদা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবেন বলে জানান। বিষয়গুলা সম্মানিত অতিরিক্ত কমিশনার জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম মনযোগ দিয়ে শুনেন এবং এ বিষয়গুলো তিনি ক্ষতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।