সময়ের সাথেঃ বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এক নামে চিনে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে। এ জেলার রয়েছে যেমন নামের খ্যাতি সাথে রয়েছে নানা ইতিহাস ঐতিহ্য। ঈসাখাঁর আমলে সোনারগাঁও ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। রয়েছে সোনালী আশ পাটের সুখ্যাতি। নারায়ণগঞ্জ কে বলা হয় প্রাচ্যের ড্যান্ডি। ছিল বৃহত্তম নদী বন্দর। এখানেই বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামিলীগ এর জন্ম।
বাংলাদেশের অনেক জেলা থেকেই ছাত্র, কর্মজীবি, বিভিন্ন গ্রুপের লোক ঘুরতে আসে সোনারগাঁও। রূপগঞ্জ থানার শাপলা বিল, পানামাসিটি সহ আরো অনেক যায়গা। এর সাথে নতুন যোগ হয়েছে সাবদি।
সাবদি আসলে একটি গ্রামের নাম। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার একটি গ্রাম। এটা একটা কৃষী নির্ভর এলাকা। রয়েছে অসংখ্য ফুলের রাশি। বছরের প্রায় সময়ই এখানে নারায়ণগঞ্জ এর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ঘুরতে আসে। এ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি উপভোগ করতে। বিশেষ করে এ সময়টাতে বসন্ত আসলে সর্বত্রই থাকে ফুলেফুলে পরিপূর্ণ। অনেক ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের আনাগোনা দেখা যায়।
বেশির ভাগ মানুষ আসেন তাদের মন টা উজার করে এই সাবদি ফুলের রাজ্যটাকে ঘুরে দেখতে। অনেকেই নিজের মত করে ছবি তুলছেন। অনেকেই ফুলের বাগানের মাঝে দাড়িয়ে নিজের মত করে ছবি তুলছেন।
সাবদি যে রাস্তা দিয়ে এই ফুলের রাজ্য তার পাশেই বয়ে গেছে শাখা নদী। যা বন্দর ও সোনারগাঁও কে বিভক্ত করেছে। কেউ চাইলেই নোউকা বা বোটে ঘুরে বেড়াতে পারেন। খাবার জন্য রয়েছে মান সম্পন্ন হোটেল এবং পার্টি সেন্টার। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে যেতে প্রথমে শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে বেটারী চালিত রিকশা নিতে হবে রিজাভ গেলে ১৫০ টাকা ভাড়া নিবে। ড্রাইভার এর নাম্বার রেখে দিলে ভাল সহজেই তাকে পেয়ে যাবেন ফেরার সময় বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
এলাকাবাসী ও অতিথিদের সাথে কথা বলে জানা গেল এখানে আসলে বেশির ভাগ মানুষ আসেন এ সাবদি গ্রামের ফুলের রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে এবং এ সুবাদে কিছু দোকান গড়ে উঠেছে যা এলাকার অনেকের জীবিকা ব্যবস্থা হয়েছে পাসাপাশি অতিথিদেরও কিছু বিশ্রাম এর ব্যবস্থা হয়েছে।
তবে সবাই মনে করছেন যেহেতু এত লোকের সমাগম হয় তাই স্থানীয় প্রশাসন এর কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত যাতে সবাই নিরাপদে আসতে ও নিরাপদেই ফিরে যেতে পারেন।