আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা তিনবার লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এই শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
আইসিসির দুর্নীতি ইউনিটের কাছে জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য না জানানোর অপরাধ ও শাস্তি মেনে নেয়ায় আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের।ফলে আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি ২০ বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না তার। প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময় নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন।
দিনভর গুঞ্জন ও গুজবের পর সন্ধ্যায় এলো সেই অমোঘ ঘোষণা, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভিতই নাড়িয়ে দিল। জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিনবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করার অপরাধে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি ২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে মঙ্গলবার দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
তবে সাকিব দোষ স্বীকার করে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ, সাকিবের মূল নিষেধাজ্ঞা এক বছর। নিষেধাজ্ঞার সময় শাস্তির সব বিধিবিধান মেনে চললে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এই দেশসেরা ক্রিকেটার।
চরম এই দুঃসময়ে সাকিবের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাকিব ভুল করলেও বুঝতে পেরেছে। বিসিবি তার পাশে আছে, থাকবে।’
সন্ধ্যায় আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর রাতে বিসিবি কার্যালয়ে এসে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে দেখা করার পর নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সাকিব জানান, ‘সবসময়ের মতো সবাই পাশে থাকলে আরও শক্তভাবে ফিরে আসব আমি।’