৩রা মার্চ বাদ আসর ফতুল্লা থানা যুবলীগ সভাপতি জনাব মীর সোহেল আলীর উদ্যোগে সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এমপির জন্য তার কার্যালয়ে দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়ায় অংশগ্রহণকারী সকলেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এমপির দ্রুত রোগ মুক্তির দোয়া কামনা করেন। তাকে দ্রুত নেতা কর্মিদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ্ পাকের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের ধৈর্য ধরার সাহস দান করার জন্য আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করেন।
উল্লেখ্য আজ সকালে হঠাত আনুমানিক ৭ টায় হৃদ যন্ত্র জনিত কারণে অসুস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হন। এনজিওগ্রাম এর পর উপস্থিত ডাক্তারদের সবার বোর্ড এর সিদ্ধান্তে তাকে আই সি ইউ তে ভর্তি করা হয় এবং তাকি ৩ টি রিং পরান এবং উপস্থিত ডাক্তাররা তার শারীরিক অবস্থা ভাল নয় বলে অবগত করেন।
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বসুরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারা বরণ করেন। ১৯৭৫ এর পর একধারে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরপর দুইবার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের ১২ জুন ১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২৩ জুন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং একই দিনে যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ২০০৯-এর সম্মেলন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ১/১১ তে কারা বরন করে সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন। কারাগারে থাকাকালে কারাজীবনের বর্ণনা দিয়ে ‘অনুস্মৃতি : যে কথা বলা হয়নি’ লেখেন।
তিনি ব্যক্তি জীবনে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রচনা করেছেন আটটি গ্রন্থ।
২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে (২০১২- অদ্যবধি) তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তিনি কিছুদিনের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেন। আওয়ামী লীগ এর ২০তম জাতীয় সম্মেলন এ তিনি সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে নির্বাচিত হয়েছেন।