বর্তমান বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী যেকোনো সরকারের তুলনায় একটি উন্নয়নমুখি ও জনমুখী সরকার। সরকার তার কার্যক্রমের গতি বাড়াতে প্রযুক্তি উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে সকল দপ্তরকে একসেস টু ইনফরমেশন এর অধিনে এনেছেন এবং এটা ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছেন এবং তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সরকারি অনেক কাজই এখন ঘরে বসে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সম্ভব। জমির রেকর্ড, যেকোনো অনলাইন দর্খাস্ত, পরিক্ষার ফলাফল, চাকরি তথ্য ও প্রবাসীদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ একন সময়ের বেপার মাত্র। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে একমাত্র এ সরকারের সদিচ্ছায় ইন্টারনেট কে সহজ লভ্যতার সুবাদে।
এ ইন্টারনেট সেবা দিতে বাংলাদেশে বৈধ ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠানকেই BTRC থেকে এ গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিতে লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হয়। যেখানে কিছু শর্ত রয়েছে যেমন পরিচালকের জীবন বৃত্তান্ত, গ্রাহক তথ্য, লগ সার্ভার, ভ্যাট, ট্যাক্স সহ সরকারের নিয়মনিতীর মধ্যে চলতে হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের অনেক যায়গাই নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অনেকেই সেবা দিচ্ছেন যা সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। তারা সরকারকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে সেবা দিয়ে আসছেন যা ডিজিটাল বাংলাদেশ কে অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দারিয়েছে। লাসেন্সধারী সেবাদাতাদের তালিকা জানতে http://www.btrc.gov.bd/list-licensees
একাধারে তারা যেমন গ্রাহকদের কোন তথ্য রাখছে না। আবার কোন গ্রাহক সরকার বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে তা সরকারকে সহযোগিতা করতেও অপারগ। ভ্যাট, ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ ফাকি দেয়ার ফলে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি রাষ্ট্রকে তারা ঝুকির মধ্যে ফেলছেন। এমনকি অনেক এলাকায় সরে জমিনে দেখা গেছে অবৈধ ব্যবসায়ীরা একজন বৈধ ইন্টারনেট সেবা দানকারীকেও ইন্টারনেট সেবা দিতে বাধা, এমনকি বৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর মালামাল রেখে দিয়ে গ্রাহকদের জিম্মি করে রেখেছেন।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চিটাগং ও বরিশাল সহ বেশ কিছু যায়গায় অবৈধ ব্যবসায়ীদের কারনে বৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এর উপর হামলার খবর বিভিন্ন সময় পত্রিকার সংবাদ হয়েছে। সর্বশেষ সুপ্রিম আইটির কাজে বাধা পঞ্চবটীতে, ইয়েস এন্টারপ্রাইজ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) পাইপপাড়া, হাসান নেটওয়ার্ক, জালকূড়ি, নারায়ণগঞ্জ, লিংক থ্রি বরিশাল অফিসে তালা, চট্রগ্রাম শহরে অনেক বৈধ ব্যবসায়ীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ঢাকার সাভারে সহ ঘটেই চলেছে অবৈধ ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্য।
নারায়ণগঞ্জ এ সরেজমিনে লক্ষ করা গেছে অনেক জায়গায় বৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিতে দিচ্ছে না তার মধ্যে পাইপপাড়া, খানপুর বরফকল, শিবু মার্কেট, পিঠালিপুল, সস্তাপুর, লালখা, জালকূড়ি, কাশিপুর, পঞ্চবটী, ফতুল্লার মুসলিম নগর সহ অনেক এলাকায়। এসব এলাকার অনেক গ্রাহকই পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন তারা এক রকম জিম্মি হয়েই সংযোগ ব্যবহার করছেন কারন বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবসায়ী অন্য কোন বৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারীকে সেবা দিতে দিচ্ছেনা। দিলেও তাদের যন্ত্রাংশ নষ্ট করে এবং কাজ করতে আসলে তাদের হুমকি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে BTRC স্পষ্ট নির্দেশনা, যদি কেউ সরকারি অনুমোদন ছাড়া টেলিকম ব্যবসা পরিচালনা করেন তার জন্য রয়েছে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা সহ অনাদায়ে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। এ বিষয়ে BTRC এর আইন শাখায় যোগাযোগ করলে তারা বলেন সংস্লিস্ট এলাকার অঅভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল বিভাগকে অবহিত করা আছে।
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর সংগঠন ISPAB এর সভাপতি জনাব আমিনুল হাকিম বলেন তারা এ বিষয়ে অবগত আছেন। তিনি বলেন BTRC সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিচালক জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে একটি সভা করেছে এবং বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্যস্ত করেছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিচালক জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম ।