বর্তমান অন্তরবর্তি সরকারের আমলে পাশ হয়েছে। দেশের উদীয়মান টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট নীতিমালা। তিন স্তরে ভাগ করা হয়েছে। ANSP, NICSP, ICSP and NTNSP. তন্মদ্ধে দেশের একটি বৃহত জনগোষ্ঠী জড়িত রয়েছে FTSP এর মধ্যে। ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার। ISPAB এর তথ্য মতে এ খাতে রয়েছে প্রায় ৩০০০ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং তার প্রায় ৪ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান। এত বড় একটি সেক্টর হঠাৎ সরকারের নিতিমালার কারনে পিছিয়ে যেতে পারেন খাত সংশ্লিষ্টরা। ২০২০ সালের নিতিমাল অনুযায়ী যেখানে একজন উপজেলা লাইসেন্সধারী বাৎসরিক ১০০০০ টাকা ও ভ্যাট দিয়ে তার লাইসেন্স এন্ডোর্স করাতে পারতেন সেখানে তাকে গুনতে হবে ১০০,০০০.০০ (এক লক্ষ) + ভ্যাট ১৫%

বর্তমানে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি এ ফি খসরা থেকে পুর্নাংগ রুপ দেন তবে দেশের অসংখ এসএমই ব্যবসায়ী ব্যবসা হারাবেন এবং এ ভাবে চলতে থাকলে এক সময় এ সেবা খাতটি জায়েন্টদের হাতে চলে যাবে এবং এক সময় মনোপলি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তার উপর নতুন নিয়মে যদি রাজস্ব ভাগাভাগি ৫.৫% এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এ ১% যা একজন এসএমই ব্যবসায়ীর জন্য হিমসিম খেতে হবে। পঞ্চগড় এর একজন ইন্টারনেট সেবাদাতা যার মাত্র ৫০০ গ্রাহক নিয়ে সেবা দেয়া অনেক চেলেঞ্জ সেখানে ভ্যাট ট্যাক্স এবং তার পাশাপাশি আয়ের উপর ৬.৫% কর ধার্য যা একজন প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবসায়ীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন।

ISPAB প্রেসিডেন্ট জনাব আমিনুল হাকিম তার এক বক্তব্যে বলেন সরকারের ৬.৫% কর যদি বাস্তবায়ন করেন তাহলে অনেকে তার এ সেবা দিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারবেন না। তিনি এই রাজস্ব ভাগাভাগি অংশটুকু বাদ দেয়ার জোর দাবী জানান। তিনি বলেন ব্যবসায়ীক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব হত। খসড়াটি বিটিয়ারসি ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ৮ই নবেম্বর ২০২৫ইং পর্যন্ত মতামত দিতে পারবেন।


